মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
করোনার কারণে কর্মস্থলে যেতে না পারা প্রবাসীরা টিকিট কনফার্মের জন্য ভিড় করছেন চট্টগ্রাম নগরীর দুইনম্বর গেইতস্থ বিমান বাংলাদেশ অফিসে। হাজারো প্রবাসীর ভিড়ে সামাজির দুরত্ব মানছেনা কেহ। শৃঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
সরেজমিন দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে দেশের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা প্রবাসীরা টিকিট সংগ্রহের জন্য এখন মরিয়া হয়ে পড়েছেন। মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিলো না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আবুধাবিগামী সপ্তাহে ৪টি ফ্লাইট আছে বিমানের। আরও দুইটি অতিরিক্ত ফ্লাইটের জন্য আবেদন করেছে সংস্থাটি।
গত মঙ্গলবার থেকে টিকিটের জন্য কাগজপত্র, টাকাসহ ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরে গেছেন। বুধবার (১২ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত হাজারো প্রবাসীর ভিড় হলে পুলিশ লাইন ঠিক করতে হিমশিম খায়।
আবুধাবির এক যাত্রী মোঃ মিজান বলেন ভোর সাড়ে ৬টা হতে বিমান অফিসে এসে দাঁড়িয়ে আছি লাইনে। এরপরও টিকেট কনফার্ম করতে পারছিনা।
বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, যাত্রীর প্রত্যাশিত দিনে যদি আসন খালি থাকে অবশ্যই টিকিট কনফার্ম করা হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে হায়ার ক্লাসে টিকিট কাটছেন বেশি ভাড়ায়। এখানে কাউকে অহেতুক হয়রানি বা কারও যাত্রা ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম নিউজকে জানান, আবুধাবিসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীরা টিকিট কনফার্মের জন্য বিমান অফিসে ভিড় করছেন।
মঙ্গলবার পাঁচ শতাধিক প্রবাসী এসেছিলেন টিকিটের জন্য। বুধবার তা হাজার পেরিয়ে গেছে। প্রতিটি লাইন ঠিক করে সুশৃঙ্খলভাবে যাতে প্রবাসীরা টিকিট কনফার্ম করতে পারেন সে জন্য আমরা দুইটি মোবাইল টিমসহ অন্তত ২৫ জন পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছি।
তবে অভিযোগ উঠেছে, বিমান অফিসে টিকিট পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি ও এজেন্টদের কাছে বাড়তি মূল্যে ঠিকই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার টিকিট চাওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। তাদের কারও ভিসার মেয়াদ শেষ, কেউ সেই দেশ থেকে ভিসার অ্যাপ্রুভাল এনেছেন। কেউ কেউ বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে যেতে না পারলে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় সবাই কাঙ্খিত টিকেট পাচ্ছেন না।
জেলার বোয়ালখালীর বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘গত মার্চ মাসে ১ মাসের ছুটিতে আবুধাবি থেকে দেশে ফিরলেও করোনার কারণে আর ফিরতে পারিনি। চলতি মাসে কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারলে হয়তো চাকরিটা হারাতে হবে। কিন্তু গত দুইদিন বিমান অফিসে এসেও টিকিট পাইনি।’
প্রসঙ্গত আবুধাবিতে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেসিডেন্স ভিসাধারীদের জন্য আর আইসিএ অ্যাপ্রুভালের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে আবুধাবি প্রশাসন। সেই সুযোগ নিয়ে দেশে আটকে থাকা আমিরাত প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরতে চাইলেও টিকিটের অভাবে তা হচ্ছে না। গত দুদিন ধরে টিকিটের জন্য বিমান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অফিসে ভিড় করছেন হাজারও প্রবাসী।
ভয়েস/বিএম/আআ